ব্লগস্পট বনাম ওয়ার্ডপ্রেস জেনে রাখুন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য/blogger vs wordpress

wordpress vs blogger, blogger কি, wordpress কি,  ব্লগার কি, ওয়ার্ডপ্রেস কি, ব্লগার ভালো না ওয়ার্ডপ্রেস ভালো, ওয়ার্ডপ্রেস ভালো না ব্লগার ভালো, ওয়েবসাইট কোথায় তৈরি করবেন,
ফ্রীতে ওয়েবসাইট তৈরী করা প্লাটফর্ম গুলো নিয়ে চুলচিরা বিশ্লেষণ করার জন্য আজকের আর্টিকেল।
আপনি ফ্রী ব্লগিং করতে চাইলে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরী তাহলে চলুন আর্টিকেলের মূল বিষয় শুরু করি।

ফ্রী ব্লগিং করতে চাইলে আমরা যে সমস্ত প্লাটফর্ম গুলি ব্যবহার যেমনঃ blogspot, wordpress, wix এছাড়াও রয়েছে আরও একাধিক প্লাটফর্ম।
তবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহিত প্লাটফর্ম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট এবার আমি আপনাদের এ দুটি প্লাটফর্মের পার্থক্য ও সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।

WordPress Vs Blogger

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি যা শতকরা হিসেব করলে প্রায় ৩৬% এবং ব্লগস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করা হয়েছে ৪-৫% আনুমানিক।
এ দুটো প্লাটফর্ম ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরীর ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় ও সবচেয়ে ভালো মানের এবং সহজ প্লাটফর্ম।

ব্লগার বা ওয়ার্ডপ্রেস আপনার জন্য সবসময় প্রস্তুত এবং তৈরী করতে পারবেন যেকোনো ক্যাটাগরির ব্লগ বা ওয়েবসাইট।

আজকের আর্টিকেলের মেইন টপিকঃ- ব্লগার এন্ড ওয়ার্ডপ্রেসের পার্থক্য ও সুবিধা।
আপনি হয়তো জেনে থাকবেন এ দুটি প্লাটফর্মেই অনলাইনে সেরা এবং ওয়েবসাইট তৈরির একদম সহজ মাধ্যম।

দুটো প্লাটফর্মের আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে এবং দুটো প্লাটফর্মের সুবিধা অসুবিধাও ভিন্ন ভিন্ন।
প্লাটফর্ম গুলি নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে বিভিন্ন জন ভিন্ন কথা ও ভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে থাকেন তবে আমি আজকে সোজাসাপ্টা কিছু তথ্য তুলে ধরবো যেমনঃ আপনি হয়তো ব্লগার সাইট নিয়েই সন্তুষ্ট কারণ ব্লগার হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরী করার সব চাইতে সহজ মাধ্যম এবং প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো রকম কোডিং জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না।

অথবা, সিংহভাগ ব্লগাররা ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে কাজ করে কম্পোটেবল ফিল করে কারণ ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে সাধারণ দক্ষতা প্রয়োগ করে পছন্দমত কাস্টমাইজ করা যায় এবং ওয়ার্ডপ্রেসের ক্ষমতা ও অনেক বেশি।

তবে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ব্লগিং করার জন্য কোন প্লাটফর্ম নির্বাচন করবেন?
প্লাটফর্ম নির্বাচন করার আগে আপনাকে ব্লগস্পট এবং ওয়ার্ডপ্রেসের সুযোগ সুবিধা গুলি জেনে নিতে হবে তারপর আপনার পছন্দ মতো প্লাটফর্ম নির্বাচন করে কাজ করতে হবে।
আপনি যদি ব্লগিং করে সফল হতে চান, তাহলে সবার আগে টুকিটাকি বিষয় গুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন তারপর আপনার পছন্দ মতো প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট তৈরী করুন তবেই একমাত্র সফলতা অর্জন করতে পারবেন অন্যতায় কখনোই আপনি কাজের গতি পাবেন না।
এবং আপনি যে প্লাটফর্ম নির্বাচন করবেন সেখানে মনোযোগ সহকারে কাজ করুন আর মনে রাখবেন আজকে যে দুটো প্লাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করছি দুটোই ব্লগিং করার জন্য সেরা প্লাটফর্ম বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ আমি দেখি না।

চলুন ব্লগস্পট এবং ওয়ার্ডপ্রেসের পার্থক্য গুলো জেনে নিই
ব্লগস্পট বা ওয়ার্ডপ্রেস কোন প্লাটফর্মটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন এবং নিচের আলোচনা থেকে তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি না করে নিজে নিজেই যাচাই করে নিবেন সুযোগ সুবিধা গুলো তাহলে প্লাটফর্ম নির্বাচন আপনার জন্য সহজ ও সঠিক হবে আমি মনে করি।

এই আর্টিকেলটি মনে করুন গাইডলাইন তাহলে বুঝতে ও জানতে আপনার জন্য যতটুকু সহজ হবে এবং প্রতিটা কথা প্র্যাকটিক্যাল কাজের সাথে মিলিয়ে নিলে আপনার জন্য ভালো হবে।

ব্লগিং করার শুরুতে আপনাকে জানতে হবে ভালো প্লাটফর্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যেমনঃ
ঝামেলা মুক্ত প্লাটফর্ম আপনি যখন নতুন ওয়েবসাইট খুলবেন তখন নিশ্চয়ই আশা করবেন আপনার ওয়েবসাইটের কন্ট্রোল প্রক্রিয়া সহজ ও সাধারন যেন হয় যাতে করে সহজেই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করা যায়।

টেকসইঃ- আপনি যে প্লাটফর্মে ওয়েবসাইট খুলতে চাচ্ছেন, প্রথমে সাইটটির স্থায়িত্ব সম্পর্কে জেনে নিবেন এবং অবশ্যই প্লাটফর্ম আধুনিক ও ফ্রিউচার সম্পর্কে জেনেবুঝে কাজ শুরু করবেন।

স্টাইলিং এবং সৌন্দর্যঃ- ওয়েবসাইট দেখতে সুন্দর ও আকষর্ণীয় না হলে কখনোই ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন না।
তাই আপনি যে প্লাটফর্ম নির্বাচন করবেন তাদের ফ্রী থীমস ও ব্র্যাকগ্রাউন্ড এবং ওয়েবসাইট গ্যাজেট টুলস স্টাইলিশ কি না আগে থেকে জেনে নিবেন।
আগে থেকে ভালো করে জেনে নিলে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে আপনার সহজ হবে এবং সুন্দর ও স্টাইলিশ করতে পারবেন।

ভার্চুয়াল নিরাপত্তাঃ- এই একটি বিষয় আপনার মাথায় গুরুত্ব সহকারে রাখতে হবে কারণ আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করেন এবং শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
কিন্তু আপনি যদি শুরু থেকে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন না হউন,
 তাহলে আপনার সব কষ্ট বিফল হয়ে যেতে পারে তাই আপনি ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য যে প্লাটফর্ম সিলেক্ট করবেন তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে, অন্যতায় আপনার ওয়েবসাইট যেকোনো সময় হ্যাকের সম্মুখীন হতে পারে।
কারণ আপনার ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি সিস্টেম শক্ত না হলে, হ্যাকার দল আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য ও এমনকি ভিজিটর বা কাস্টমারের তথ্য ও হাতিয়ে নিতে পারে।

এবার দেখে নিব এ দুটো প্লাটফর্ম কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে
তবে প্রথমে জেনে নেওয়া দরকার ব্লগস্পট ও ওয়ার্ডপ্রেস কি?

ব্লগস্পট কি?

ব্লগার হচ্ছে ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরী করা "ব্লগ পাবলিশিং টুলস" ব্লগার ডটকম ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম এবং নতুন যেকেউ ব্লগার ডটকমে সাইন আপ করে অল্প সময়ের মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন তার জন্য কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

তবে আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার এই তথ্য গুলো জেনে নেওয়া উচিৎ, ব্লগস্পট হচ্ছে গুগলের নিজস্ব একটি প্রোডাক্ট যা গুগল ২০০৩ সালে সাধারণ ব্লগারদের উদ্দেশ্যে তৈরী করে এবং পায়রা-ল্যাব থেকে (acquired) নিয়ে সাধারণ ব্লগিংয়ের জন্য পরিচালিত হয়ে আসছে।
তবে বর্তমান সময় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ব্লগার সাইট পরিপূর্ণ ভাবে গুগলের সার্ভিস এবং ব্লগারের সকল তথ্য উপাত্ত সংযোজন সংরক্ষণ সকল কিছুর দায়দায়িত্ব গুগলের নিজস্ব সত্তার মধ্যে পড়ে।

ব্লগার ব্যবহার করার প্রাথমিক তথ্য
ব্লগার সাইটে সাইনআপ করে ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি জিমেইল একাউন্ট (গুগল একাউন্ট) খুলে নিতে হবে এবং এই জিমেইল একাউন্ট ব্লগার ডটকম সাইটে প্রবেশ করে লগইন করতে হবে এবং এভাবেই প্রাথমিক কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।

ব্লগস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরী করতে খরচ
আপনি নিশ্চয়ই জানেন ব্লগস্পট সম্পূর্ণ ফ্রী সার্ভিস এবং গুগলের নিজস্ব প্রোডাক্ট তাই ব্লগার ডটকম সাইটে ওয়েবসাইট চালু করতে আপনাকে প্রাথমিক অবস্থায় একটি টাকাও খরচ করতে হবে না এবং আলাদা ভাবে হোস্টিং কেনার কোনো প্রয়োজন নেই কারণ ব্লগার ডটকমে তৈরি করা প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট গুগলের নিজস্ব সার্ভারে ব্লগস্পটের জন্য আলাদা হোস্টিং সার্ভার রয়েছে এবং আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্ভারে হোস্ট করা থাকবে।

ডোমেইন
তবে এই বিষয়টা আমি একটু ভিন্ন ভাবে বলতে চাই কারণ আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস, অবশ্যই আপনার ইচ্ছা মতো হওয়া উচিত।
ব্লগার ডটকম আপনার ওয়েবসাইট তৈরী করার সময় একটি "সাব-ডোমেইন" প্রদান করে যা সম্পূর্ণ ফ্রী।
কিন্তু আমি আপনাদেরকে পরামর্শ দিতে চাই, সাব ডোমেইন ব্যবহার না করে একটি টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করার জন্য।
কারন আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ব্লগিং করে আয় করতে চান, তাহলে অবশ্যই এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করবেন আর সাব ডোমেইন দিয়ে আগে এডসেন্স এপ্রুভ হতো এখন আর হয় না, তাই আপনাকে অবশ্যই টপ লেভেল ডোমেইন নিতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস কি?

ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরী করার সবচেয়ে ব্যবহিত প্লাটফর্ম টি হলো ওয়ার্ডপ্রেস এবং এর ব্যবহার অত্যাধিক সরল কিন্তু এই প্লাটফর্ম টি টুলস ক্যাপাসিটির দিকে ব্লগারের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও জনপ্রিয়।
আপনি যদি ওয়েবসাইট তৈরী করতে চান এবং এক্ষেত্রে নতুন তাতেও তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় কারণ আপনি বেসিক জ্ঞানকেই কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে চমৎকার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন।

অনলাইনে ৩৬% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে জেনারেট করা এবং প্রতি ৪ টি সাইটের ১ সাইট  ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা আনুমানিক।
 ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি সফ্টওয়্যার সিস্টেম যার পূর্ণরুপ Open Source CMS Software যা ব্যবহার করে সহজেই কোডিং নলেজ ছাড়াই পরিপূর্ণ একটি ওয়েবসাইট তৈরী করা যায় এবং এটি যেকেউ করতে পারে।

উপরে চেষ্টা করেছি দুটো প্লাটফর্মের প্রাথমিক তথ্য গুলো তুলে ধরার এবার আলোচনা করবো দুটো প্লাটফর্মের মাঝে কি কি পার্থক্য রয়েছে তা নিয়ে চলুন শুরু করিঃ-

ওয়েবসাইট সেটিং

ব্লগার ডটকম
ব্লগস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরী করা সবচেয়ে সহজ এবং মাত্র কয়েক মিনিটে কয়েকটি স্টেপ ফলো করেই ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করা যায়।
ব্লগস্পট দিয়ে ব্লগ তৈরি করতে আপনার কোনো বাড়তি জ্ঞানের প্রয়োজন নেই এবং নতুনদের ক্ষেত্রে ও অন্য কারও সহযোগিতার প্রয়োজন নেই।
ব্লগার ডটকমে জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করার পর  Create your blog অপশনটি দেখতে পাবেন, এবং Create your blog এর উপর ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের নাম (টাইটেল) দিন ও আপনার ওয়েবসাইটের শর্ট Description দিয়ে দিন তারপর পছন্দমত একটি থীমস সিলেক্ট করুন এবার লক্ষ্য করুন আপনার ওয়েবসাইট রেডি।

ওয়ার্ডপ্রেস (CMS)
এখন আলোচনার বিষয় ব্লগার ডটকমে যত সহজে ব্লগ তৈরি করা যায় ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি তা পারবেন না।
কারণ শুরুতেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে (CMS) সফ্টওয়্যার টুলস ওয়েবসাইট অপারেটিং সিস্টেম তাই ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুলতে আপনার দক্ষতা প্রয়োজন নয়তো আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে সাকসেস হতে পারবেন না।

ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েব হোস্টিং নিতে হবে ও ডোমেইন তবে প্রথমে ফ্রী সাব-ডোমেইন ব্যবহার চাইলে তা পারবেন।
তারপর ওয়েব হোস্টিং একাউন্টে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে ওয়েবসাইট তৈরী করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে এবং ওয়ার্ডপ্রেসে ব্লগ তৈরি করতে এটাই প্রথম কাজ।

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরী করতে গিয়ে ধৈর্য হারা হলে চলবে না, আপনাকে দীর্ঘ সময় নিয়ে কাজ করতে হবে এবং কোনো কিছু না বুঝলে ইউটিউব এ সার্চ করে বুঝে নিতে হবে।

তাহলে আমরা বুঝতে পারলাম সহজে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য ব্লগস্পট ডটকম সেরা।

নিজস্ব অধিকার

ব্লগস্পট
আপনি যখন ব্লগস্পট ডটকমে ওয়েবসাইট তৈরী করবেন নিশ্চয়ই আপনি তৈরিকৃত ব্লগটির মালিক হবেন (Owner)
কিন্তু সম্পূর্ণ মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে থাকবে এর কারণ হলো ব্লগার ডটকম সরাসরি গুগল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
গুগল সার্ভারে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটের ডাটাবেস হোস্টিং করা থাকবে এজন্য ওয়েব হোস্টিং আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকবে অর্থাৎ গুগলের নিয়ন্ত্রিত হবে।
ব্লগস্পট যেহেতু একজন ব্লগারের নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ থাকে না, তাই গুগলের বা ব্লগস্পটের কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে কাজ করতে হয় অন্যতায় গুগল যেকোনো সময় আপনার অনুমতি ছাড়াই ব্লগ বা ওয়েবসাইট ডিলিট অথবা সাসপেন্ড করে দিতে পারে।

তবে অনেকেই বলে থাকে ব্লগস্পট কখনো বন্ধ হয়ে যাবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে শুধু এতটুকুই বলবো আপনি যদি ব্লগার ডটকমে কাজ করেন, তাহলে নিশ্চিন্তে কাজ করতে থাকুন।

ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই রাখতে পারেন অর্থাৎ ব্লগের মালিকানা।
কারণ ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট করতে শুরু থেকেই ফ্রী টুলস অথবা ফ্রিমিয়াম টুলস ব্যবহার করতে হয়।
এবং আপনার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটের গঠন প্রণালী তৈরি করতে হয়।
 ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট করতে আপনাকে প্রথমে ভালো মানের হোস্টিং নিতে এবং এই হোস্টিংয়ের নিয়ন্ত্রণ শুধু মাত্র আপনার অধিনেই থাকবে সেই সাথে ১০০% মালিকানা।

ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ ঠিক তখনি থাকবে যখন কেবলমাত্র আপনি নিজে থেকে চাইবেন অথবা বন্ধ করে দিবেন।
ওয়েবসাইটের সুবিধার্থে আপনি যেকোনো সময় যেকোনো সার্ভিস পরিবর্তন করতে পারবেন যেমনঃ হোস্টিং, ব্যাকআপ ইত্যাদি।

আপনার ওয়েবসাইট অন্য কেউ তখনি একসেস করতে পারবে, যখন আপনি নিজে থেকে অনুমতি প্রদান করবেন।

তাহলে এই অধ্যায়ে আমরা কি বুঝলাম
অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস নিজস্ব মালিকানার দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রইলো।

ডিজাইন এন্ড ফাংশন

ওয়ার্ডপ্রেস
একটি ওয়েবসাইট আকষর্ণীয় ডিজাইন করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেসের বিকল্প অবশ্যই অন্য কোনো প্লাটফর্ম হতে পারে না।
কেননা ওয়ার্ডপ্রেস প্লাটফর্মে আপনি অসংখ্য ফ্রী প্লাগিন ও ফ্রীমিয়াম প্লাগিন এড করতে পারবেন আর এই প্লাগিন গুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট কে দিতে পারবেন আকষর্ণীয় স্টাইল ও রেসপন্সিব ডিজাইন।

এছাড়াও রয়েছে ফ্রী ও ফ্রীমিয়াম থিম যা ব্যবহার করে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরী করে আপনার ওয়েবসাইট কে করে তুলতে পারবেন আধুনিক ও আকষর্ণীয়।
একটি ওয়েবসাইট কে সুন্দর ডিজাইন একমাত্র ওয়ার্ডপ্রেসেই দিতে এই জন্য কারণ ওয়ার্ডপ্রেসের অফিশিয়াল সাইটে রয়েছে ৭০০০ হাজারের ও বেশি ফ্রী থিম এবার আপনিই নিজেই চিন্তা করে দেখতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস কত বড় একটি প্লাটফর্ম।

ওয়ার্ডপ্রেসের যেকোনো থিমকে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন যা অন্য যেকোনো প্লাটফর্মে পসিবল না।
শুরুতেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে ওপেন সিকিউর সফ্টওয়্যার আর প্রোগ্রামের মাধ্যমে নতুন নতুন ফিউচার এড করা সহ নতুন নতুন ফাংশন এড করে ওয়েবসাইট কে পরিপূর্ণ ভাবে সেটআপ করতে পারেন।

এছাড়া প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট গুলো তে দেখতে পাবেন আকষর্ণীয় এডভান্স অপশন যোগ করা থাকে আপনিও ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রী প্লাগিন গুলো ব্যবহার করে সহজেই ওয়েবসাইটের এডভান্সড রুপে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
যেমনঃ অনলাইন স্টোর, পপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের শেয়ারিং বাটন, বিজ্ঞাপন বা নোটিশ অপশন ইত্যাদি।

ব্লগস্পট
ব্লগার সাইটে তারাতারি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারার কারণ ওয়ার্ডপ্রেসের মতো এত ফিউচার ও ফাংশন এড করা বা এড দেওয়ার মতো সুযোগ নেই ব্লগারে সকল ফাংশনেই খুব সীমিত।
আপনি ওয়েবসাইট জগতে নতুন হয়ে থাকলে ব্লগার সাইট আপনার কাজের জন্য সহজ ও ভালো লাগবে।
তবে আপনি চাইলেই এখানে বাড়তি কোনো অপশন যোগ করতে পারবেন না ব্লগস্পটে যা আছে সেগুলোই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তু প্লাগিন যোগ করার অপশন অবশ্যই পাবেন তবে তা হবে সীমিত আকারে।
ওয়ার্ডপ্রেসের সাথে তুলনা করলে ব্লগস্পটের প্লাগিন দিয়ে ওয়েবসাইট তত বেশি আধুনিক ডিজাইন করা যায় না এবং এডভান্স লেভেলের অপশন তো অনেক দুরের বিষয়।

তবে ব্লগস্পটেও রয়েছে আকষর্ণীয় ফ্রী থিমস যেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ব্লগার ওয়েবসাইটেও আধুনিক ডিজাইন করা যায়।
তাছাড়া আপনি Premium theme কিনে ব্যবহার করতে পারবেন এবং Premium theme দিয়ে ভালো কোয়ালিটির ব্লগ তৈরি করা যাবে।
আপনি যদি কন্টেন্ট ব্লগিং করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরী করেন তাহলে ব্লগস্পট সাইট আপনার জন্যে বেস্ট।
তবে আপনি মিক্স কোয়ালিটির ওয়েবসাইট তৈরী করেন তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করুন।

ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা

আপনি জানেন কি, একটি ওয়েবসাইট তৈরী করার সাথে সাথে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ও ডাটা সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তাই আপনাকে শুরুতেই সঠিক প্লাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে যা আপনাকে সর্বাধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

যদি সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ হ্যাকারের কবলে পড়ে যায় তাহলে ওয়েবসাইট যাওয়ার সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও হাতিয়ে নিতে পারে এছাড়া আপনার ওয়েবসাইট দিয়ে উদ্দেশ্যে মূলক অ-প্রচার চালাতে পারে যার জন্য আপনি আইনগত জটিলতায় পড়তে পারেন এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট যদি ব্যবসায়ীক কাজে হয়ে থাকে তাহলে আপনি অর্থনৈতিক ভাবে ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

ব্লগস্পট ডটকম
আমি বলবো আমার দেখা ফ্রী প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে ব্লগার সাইট নিরাপত্তার দিক দিয়ে ১০০% সিকিউর কারণ গুগল এর নিজস্ব প্লাটফর্ম হওয়ার পাশাপাশি গুগল নিজেদের সিস্টেমের মাধ্যমে Robust প্লাটফর্ম এর সুবিধা প্রদান করে।
তাই আপনি যদি ব্লগস্পট ডটকমে ওয়েবসাইট করেন তাহলে ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় গুলো গুগল নিজে নিজেই কন্ট্রোল করে এবং আপনি শতভাগ নিশান্ত থাকতে পারেন।

তবে সামান্য অসুবিধার সম্মুখীন ও হতে পারেন যেমনঃ সার্ভার ডাউন, সার্ভিস রিজাম কিন্তু এই সবসময় থাকবে না তাই এই বিষয় টি নিয়ে এত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।

ওয়ার্ডপ্রেস
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত ওয়েবসাইট তৈরী করার বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেস এবং নিরাপত্তার দিক থেকে ও এগিয়ে রয়েছে এর কারণ এসকল ওয়েবসাইট গুলোর নিরাপত্তা নিজে থেকে নিশ্চিত করতে হয়।
এখানে ওয়েবসাইট যিনি তৈরি করবেন ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও তার নিশ্চিত করতে হবে।

এজন্য অতিরিক্ত চিন্তার কিছু নেই আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রী প্লাগিন ব্যবহার করে এগুলো সমাধান করে নিতে পারবেন।
ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন গুলো ব্যবহার করলে ব্যাকআপ প্লাগিন, আপডেট প্লাস, ফ্যাক লগইন প্রোডাকশন ইত্যাদি বেস্ট।
নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করলে দুটো প্লাটফর্মেই সেরা অবস্থানে রয়েছে তাই চিন্তার কিছু নেই।

ওয়েবসাইট তৈরী করার প্রাথমিক খরচ

ব্লগস্পট ডটকম
ব্লগার ডটকমে সম্পূর্ণ ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারবেন এমনকি হোস্টিং সার্ভিসেও টাকা দিয়ে নিতে হবে না তাই আপনি যদি ফ্রীতেই ব্লগ তৈরি করেন তাহলে ব্লগার ডটকমে ওয়েবসাইট তৈরী করুন।

ওয়ার্ডপ্রেস
ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরী করার জন্য অবশ্যই আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই তবে ফ্রী করা যায় কিন্তু ভালো ফলাফলের আশা কখনোই করা যায় না।
আলোচনার শুরুতেই বলেছি ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে অটোমাজেশন সফ্টওয়্যার এখানে ওয়েবসাইট খোলার জন্য বাধ্যতামূলক ওয়েব হোস্টিং প্যাকেজ নিতে হবে যা টাকার বিনিময়ে ক্রয় করতে হবে।
এসব হোস্টিং নিতে প্রতিবছরে সর্বোনিম্ন ১-থেকে ২-হাজার টাকা খরচ পড়বে।

তবে ব্লগার সাইটের মতো একটি ফ্রী সাব-ডোমেইন পাবেন কিন্তু ওয়েবসাইট রেঙ্ক করানোর জন্য টপ লেভেল ডোমেইন বাধ্যতামূলক নিতে হবে।
তবে আপনি ফ্রী ব্লগ তৈরি করার জন্য ব্লগস্পট ডটকম কেই বেচে নিতে পারেন।

কিন্তু একটি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরী করতে ওয়ার্ডপ্রেসের তুলনা অন্য কোনো প্লাটফর্মের সাথে করা যায় না।

এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)

ওয়েবসাইট তৈরী করার পাশাপাশি ওয়েবসাইট কে এসইও করা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
আপনি যখন ব্লগের এসইও সঠিকভাবে করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইট দূত সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হবে এবং সেই সাথে ওয়েবসাইটে প্রচুর ভিজিটর আসবে।
এজন্য আগে থেকেই এসইও ফ্রেন্ডলী প্লাটফর্ম সিলেকশন করতে হবে যেখানে আপনি সকল ধরনের সহযোগিতা পাবেন।

ব্লগস্পট এসইও
এসইওর দিকে ব্লগার সাইট তুলনা মূলকভাবে পিছিয়ে রয়েছে তবে আপনার যদি এসইও সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে ব্লগার সাইট ব্যবহার করে কন্টেন্ট ব্লগ তৈরি করার আদর্শ সাইট।

কেননা ব্লগার সাইটে আলাদা ভাবে কোনো এসইও প্লাগিন দেওয়া হয় না।
ব্লগারের এই একটি বিষয় অনেক পিছিয়ে রয়েছে।

ওয়ার্ডপ্রেস এসইও
ওয়ার্ডপ্রেস এসইও এর দিকে দূরদূরান্ত ভাবে এগিয়ে রয়েছে তাই আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট খুললে এসইও এর দিক দিয়ে অবশ্যই লাভবান হবেন।
আপনি এখানে ফ্রী এসইও প্লাগিন ব্যবহারের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওয়েবসাইট কে রেঙ্ক করিয়ে নিতে পারবেন।

এসইওর জন্য বেশ কিছু প্লাগিনয়ের প্রয়োজন হয় যেমনঃ Robot.txt ফাইল, On-page-seo, sitemap, https redirection ব্রাউজিং ইত্যাদি।
Yoast SEO প্লাগিন ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য অন-পেইজ এসইও করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে অবশ্যই যাচাই করে দেখে নিবেন।

ভবিষ্যৎ

ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস দুটো প্লাটফর্মেই দারুণ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং এ দুটো প্লাটফর্মের যেকোনো একটি প্লাটফর্মের সাথে কাজ করে আপনার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারেন।
তবে বর্তমানে ব্লগ করার জন্য ব্লগারের চেয়ে ওয়ার্ডপ্রেস বেশি ব্যবহিত হচ্ছে এখন আপনিই ঠিক করে নিবেন আপনি কোন প্লাটফর্মে কাজ করবেন।

আর্টিকেল অনেক দীর্ঘ হয়ে গেছে তার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী তবে আপনার যদি কোনো মতামত থেকে থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে অবশ্যই আপনার মতামত টি শেয়ার করবেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form