ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হউন/ free Hosting


free hosting company, web hosting, ফ্রী হোস্টিং, ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার করা ভালো না খারাপ,

ফ্রী ওয়েব হোস্টিং নেওয়ার আগে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন, ফ্রী হোস্টিং ও পেইড হোস্টিং এর পার্থক্য গুলো না বুঝে না জেনে আপনি হয়তো ভুল পথে পা বাড়াতে পারেন।
তাই এই টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবো এবং বিস্তারিত আলোচনা করবো আপনি যদি ফ্রী হোস্টিং নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন, উপকারে আসবে।
এছাড়াও বর্তমান সময়ের ফ্রী হোস্টিং সাইট গুলিকে আপনাদের সাথে পরিচয় করি দিব এবং ব্যবহারের নিয়ম বর্ণনা করবো।

হোস্টিং নেওয়ার প্রয়োজন ঠিক তখনি পড়বে, যখন আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে এবং ওয়েবসাইট টি হতে পারে ব্লগস্পট অথবা ওয়ার্ডপ্রেস।

প্রথমে জেনে নিন হোস্টিং কি

হোস্টিং হচ্ছে, ওয়েব সার্ভার স্টোরেজ এই ওয়েব সার্ভার স্টোরেজ শব্দটি বুঝতে অনেকের সমস্যা হতে পারে তাই ওয়েব সার্ভার স্টোরেজ বা হোস্টিং সম্পর্কে উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন মনে করছি নিম্নে লক্ষ্য করুনঃ
উদাহরণ অনেক কিছু দিয়েই দেওয়া যায়, তবে আপনি মনে করুন আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডে গান বা সিনেমা যাই রাখুন না কেন আপনার মেমোরি তে পর্যাপ্ত পরিমাণে খালি জায়গা থাকতে হবে।
ঠিক একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ওয়েব হোস্টিং সার্ভারে রাখতে হয় এবং এই সার্ভারটি হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে ভাড়া নিতে হয় তবে ফ্রী হোস্টিং সার্ভিস নিয়েও ব্যবহার করা যায় তবে পেইড হোস্টিং এর মতো সার্ভিস পাওয়া যায় না।
চলুন এবার টিউটোরিয়ালের মুল বিষয় বস্তু নিয়ে আলোচনা করি
ব্লগার বা ব্লগিংয়ের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে নতুন নতুন মূখ নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে ওয়েবসাইটের দিকে ঝুঁকছে, সেই সাথে বাড়ছে হোস্টিং সার্ভিসের চাহিদা।
ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায় যেমন সত্য ঠিক একই রকম ভাবে ওয়েবসাইট শুরু করার প্রথম দিকে বেশ কিছু পরিমাণের অর্থ ব্যায় করতে হয়।
আর আমরা খরচের পরিমাণ কমানোর জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করে থাকি।

একটি ওয়েবসাইট কোয়ালিটি ফুল করতে আমাদের যে বিষয় গুলির দিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হয় এবং এগুলো করতে গিয়ে আমাদের খরচের পরিমাণ বেড়ে যায় যেমনঃ আপনি যদি অন্য কারও সহায়তায় ওয়েবসাইট তৈরী করান অর্থাৎ টাকা দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরী করানো হয়।
আপনি চাইলে ফ্রী ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন যেমনঃ ব্লগস্পট, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কিন্ত আপনার ওয়েবসাইট রান করাতে বেশ টেকনিক্যাল টুলসের প্রয়োজন রয়েছে যা টাকা খরচ করে করতে হয়।

আর খরচের পরিমাণ যাতে করে কমানো যায় সেই দিকে খেয়াল রেখে আপনি ফ্রী টুলস ব্যবহার করতে পারেন তবে ফ্রী টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন না।
আপনি চাইলে ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন কারণ নতুন অবস্থায় হাই কোয়ালিটির ওয়েব হোস্টিং এর দরকার পড়ে না।

আপনি হয়তো হোস্টিং প্যাকেজের খরচ সম্পর্কে অবগত আছেন, এই হোস্টিং প্যাকেজ গুলো উচ্চ দামে নিতে হয় তবে আপনি সবদিকে তৈরি থাকলে মাসিক অথবা বাৎসরিক প্যাকেজ গ্রহন করতে পারেন।
তবে আপনি চাইলে ওয়েবসাইট তৈরী করা থেকে ওয়েবসাইটে কোয়ালিটি ফুল কন্টেন্ট আপলোড অব্যাহত রেখে বছর ছয় মাস ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার করে খরচ কমাতে পারেন।

এখানে একটি বিষয় নোট করবেন
ফ্রী ও পেইডের মধ্যে অনেক তপাত রয়েছে ফ্রী হোস্টিং কোম্পানি সব সময় ভালো সার্ভিস নাও দিতে পারে এজন্য আপনার ওয়েবসাইট গুগলে রেঙ্ক করতে বিলম্ব হতে পারে।
এছাড়া ব্রান্ডউইত স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ও ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম স্লো ও ধীর গতিতির হতে পারে, আর ধীর গতির ওয়েবসাইট গুলোতে ভিজিটর ধরে রাখা কঠিন হয়ে ধারায়।
উদাহরণ নিজে থেকেই নেওয়ার চেষ্টা করবেন তবে আমি একটু সহজ করে দেই, যেমনঃ আপনি একটি বিষয়ে গুগলে সার্চ করলেন এবং ফাস্ট পেইজে শো করা ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেন কিন্তু ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে দীর্ঘ সময় লোডিং নিতে হয় অর্থাৎ স্লো গতির ওয়েবসাইট, আপনি কিন্তু অনায়াসেই Cancelled করে দিবেন এবং অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন ঠিক একই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটিও যদি ফাস্ট পেইজে শো করে কিন্তু স্লো থাকার কারণে ভিজিটর হারাতে পারেন এবং এটি একটি ওয়েবসাইটের বড় সমস্যা।

একজন প্রফেশনাল ব্লগারের করণীয়

ওয়েবসাইট ব্লগ বা বিসনেজ যেকোনো রকম হতে পারে অথবা নতুন তৈরী করার কথা ভাবতে পারেন।
তবে ওয়েবসাইটের গুণগত মানের দিকে অবশ্যই আপনাকে নজর রাখতে হবে, সব ব্লগারেই টিউটোরিয়ালে বলে থাকে একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ ইউনিক আর্টিকেল তবে আমি বলি আর্টিকেল+ওয়েবসাইট কোয়ালিটি।
কারণ ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি ঠিকঠাক না থাকলে আর্টিকেল পড়ার মানুষ পাবেন না বিষয় টা মনে রাখতে হবে।
তাই একজন প্রফেশনাল ব্লগারের প্রথম করণীয় ফ্রী সার্ভিস পরিহার করা কারণ কখনোই ফ্রী তে ভালো সার্ভিস পাওয়ার আশা করা যায় না।

তবে ফ্রী সার্ভিস গ্রহন করা ওয়েবসাইটের সংখ্যাও কিন্তু কম না, আমার জানা মতে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার করে এবং ফ্রী হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট রেঙ্ক করিয়ে নিয়েছে।
তাই আজকের টিউটোরিয়ালের মুল লক্ষ্য ছিল ফ্রী হোস্টিং এবং আমি আপনাদেরকে বলবো যদি ফ্রী হোস্টিং ব্যবহার করেন তাহলে নিম্নে উল্লেখিত হোস্টিং সাইট গুলো ব্যবহার করেন আশাকরি ভালো ফলাফল পাবেন।

ওয়েবসাইট যদি ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে তৈরি করেন তাহলে ফ্রী হোস্টিং নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই, ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের জন্য অসংখ্য ফ্রী হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে আপনি আপনার পছন্দ মতো সাইট থেকে হোস্টিং নিতে পারবেন।
তাছাড়া ব্লগস্পট সাইটে ওয়েবসাইট হয়ে থাকলে ফ্রী হোস্টিং খোঁজাখুঁজি না করে ব্লগারের নিজস্ব হোস্টিং ব্যবহার করুন সবচেয়ে ভালো হবে।

ফ্রী হোস্টিং সাইট গুলো বিবরণ সহ দেখে নিন

Hostinger.com
আমি Hostinger.com কে এক নম্বরে রাখলাম কারণ এই কোম্পানি আপনাকে সম্পূর্ণ ফ্রী সার্ভিস না দিলেও নাম মাত্র দামে প্রফেশনাল হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে।
 ১ ডলারের চেয়েও কম দামে Hostinger.com থেকে হোস্টিং ক্রয় করতে পারবেন এবং সার্ভার লোডিং স্পিড ৩৫৫mm গতি সম্পন্ন যা আপনার ওয়েবসাইট কে দূত রেঙ্ক করাবে।
আপনি Hostinger ব্যবহার করতে পারেন ১০০% কোয়ালিটি ফুল সার্ভিস পাবেন।
এছাড়া এই ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক ক্রয়ের মেথড গুলো ইজি আমি মনে করি কারণ এখানে আপনি স্কিপটু কারেন্সি দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ডের প্রয়োজন নেই।
কমদামে হোস্টিং ক্রয় করতে চাইলে হোস্টিংগার আপনার জন্য সেরা সার্ভিস হতে পারে, তাই আপনি ওয়েবসাইট টি ঘুরে দেখতে পারেন।

000webhost.com
এখানে সম্পূর্ণ ফ্রী সার্ভিস পাবেন আপনাকে কোনো রকম পেমেন্ট করতে হবে না।
ফ্রী হোস্টিং সার্ভিসের তুলনায় দ্বিতীয় নাম্বারে রাখলাম, ফ্রী সাইট গুলির অধিকাংশই 000webhost.comব্যবহার করছে এবং মোটামোটি ভালো সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে তবে ৫-৭ দিন পরে পরে ১-২ ঘন্টার জন্য downtime পেইস হতে পারে।
এখানে ৫-টি ফ্রী ওয়েব কোম্পানি শেয়ার করলাম আপনারা চাইলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
আজকের আর্টিকেল নিয়ে যদি আপনার কোনো মতামত থেকে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form